Duryodhana
Jaladāsa, Hariśaṃkaraএই উপন্যাসটি দুঃশীল দুর্যোধনকে নতুন চোখে দেখার বৃত্তান্ত। আজীবন আমরা জেনে এসেছি, মহাভারত-এর দুর্যোধন কূটকৌশলী, স্বার্থান্ধ। ন্যায়ও সত্যের বিপরীতে তার অবস্থান।
এ জানাটা কি সত্য? না এ জানায় বর্ণবাদিতার মিশেল আছে?
যুধিষ্ঠিররা কি কুরু বংশের কেউ, না বহিরাগত?
হস্তিনাপুরের আসল দাবিদার কারা? পাণ্ডবরা, নাকুরুরা? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ কি সত্যিই ধর্মযুদ্ধ? ধর্মের পক্ষে কারা? এই যুদ্ধে যত অনীতি-দুর্নীতি হয়েছে, তার সিংহ ভাগই করেছে পাণ্ডবরা। উসকানি দাতা কে?
মহাভারত-এর প্রকৃত নায়ক কে? অর্জুন? যুধিষ্ঠির? কৃষ্ণ? না দুর্যোধন?
হস্তিনা পুরের নৃপতি ছিল দুর্যোধন। যুদ্ধ বাধলে মিথ্যা, জোচ্চোরি আর অধর্মের আশ্রয় নিয়ে কুরু পক্ষকে ধ্বংস করল পাণ্ডবরা। পরাজিত হলো দুর্যোধন। অন্যায় যুদ্ধে দুর্যোধনের ঊরু চুরমার করল ভীম। পাণ্ডবরা জয়ী হলো বটে কিন্তু প্রকৃত জয়ের স্বাদ কি পেল তারা? শেষ পর্যন্ত দুর্যোধন জিতে গেল নাকি?
দুর্যোধন-এ হরিশংকরের ভাষাতীক্ষ্ণ, যুক্তিপূর্ণ। উপন্যাসটি পাঠককে ভীষণ রকম নাড়া দেবে।